অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৬ জন।
নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনায় দেশে এখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০১ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯২টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১২ হাজার ৩৯৮টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
করোনা ভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ৬ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ২০৮ জন। সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২০৯ জন এবং নারী ৫৯২ জন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চার জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আট জন,৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচ জন, রংপুর বিভাগে সাত জন, বরিশাল বিভাগে চার জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, সিলেট বিভাগে এক জন এবং খুলনা বিভাগে সাত জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৭ জন, বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিন জন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৯৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ১৬০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৩৩ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৪১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০১ জনকে।
প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৮৫৯ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার ৭৯১ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩২৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার ২০০ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৯১ জন।
0 Comments