ডেস্ক রিপোর্ট ॥ স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়েছে। আমরা কি এখনও কেউ জানি, ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাম । তিনি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা (সম্মুখ) প্রফেসর আব্দুর রশীদ,ঢাকা কলেজ। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গ্রামের বাড়িটি ছিল গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভারতের চৌকস অফিসার তৎকালিন মেজর ধিলনের নেতৃত্বে ৭ নং সেক্টরের দিনাজপুর সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেন এবং পরবর্তীতে শহীদ হন। দীর্ঘ ৯ মাস ভারত থেকে আসা অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা করেন এই পরিবারটি এবং নানাভাবে শান্তি কমিটির রোসানলে পড়েন। কত অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হতে হয়েছে এই পরিবারের সকল সদস্যদের। এই পরিবারের আজ সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুর রশিদের ছেলে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন চৌকস সেনা কর্মকর্তা( লেঃ কর্ণেল আজম) যাকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী চৌকস সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কিত করেছেন। এই পরিবারের আরও একজন সদস্য পাবনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষঅ অফিসার। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের পরও কোন প্রতিদান এই পরিবার আশা করেনি। তাই এই পরিবারের অন্যতম সদস্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সহযোদ্ধা। ড. মোঃ আব্দুল মজিদ আসন্ন পাবনা-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পত্র কিনেছেন যার ক্রমিক নম্বর-২৭। তিনি ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং এলাকায় নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ দেশ বিদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে।
এই সমাজে অনেক বিত্তবান প্রভাবশালী মানুষের আনাগোনা বেশি, কিন্তু এই বিত্তবান, প্রভাবশালী মানুষের সমাজের ভালো মন্দ নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই, ঠিক সেই সময় একজন আলোকিত মানুষ আব্দুল মজিদের দৃষ্টি পড়ে ভেঙ্গে পড়া সমাজের অবহেলিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উপর। নিজেই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন গরীব অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করার জন্য এবং মাদকমুক্ত সমাজ ও অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। গরীব অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে আব্দুল মজিদের ভুমিকা অনিস্বীকার্য। অন্ধসমাজে শিক্ষার আলো ফোটানোই একমাত্র স্বপ্ন এই মহান বিদ্যানুরাগী মানুষটির। নিজের এলাকায় জনপ্রিয় এই মানুষটি মসজিদ মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমুলক কাজে নিজের আয়কৃত অর্থ দান করে সাধারন মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তাই জীবনের সর্বস্ব দিয়ে আব্দুল মজিদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গরীব অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া এই সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে।
অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের পারিবারিক পরিচিত : আব্দুল মজিদ ১৯৬০ সালের ৪ ঠা এপ্রিল উত্তরবঙ্গের যােগাযােগের প্রাণকেন্দ্র পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার ভাড়ইমারী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ' মালীথা ' বংশে জন্মগ্রহন করেন । পিতা মরহুম ফকির উদ্দিন মালীথা এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবী ছিলেন । মাতা বেগম দুলাজান ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী ফকির বংশের মেয়ে । যার ভাই ( আব্দুল মজিদের মামা) ফকির নূরুল ইসলাম ঈশ্বরদীর প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান । স্থানীয় পরিচিতি ও অত্যন্ত বিনয়ী মিষ্টভাষী ও সৎ ব্যক্তি হিসেবে জনাব এম , এ , মজিদ এলাকায় সু - পরিচিত । তার প্রয়াত বড় ভাই আব্দুর রশিদ ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ও মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা ( অধিনায়ক ) কালুরঘাট সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং পরবর্তীতে শহীদ হন । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁর গ্রামের বাড়ীটি মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার হয় । আব্দুল মজিদ ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন । এই সময়েই তার সঙ্গে এলাকার জনগণের ব্যাপক জনসংযােগ ঘটে । শিক্ষাজীবন: আব্দুল মজিদ স্থানীয় মোকাররম মেমােরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। শিক্ষাজীবনে ১ ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ১ম স্থান অধিকারী ছিলেন তিনি। পরে সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে এইচ এস সি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে সম্মান সহ মাষ্টার্স গ্রহণ করেন । সম্মান ও মাষ্টার্স পরীক্ষায় যথাক্রমে মেধা তালিকায় ৫ম ও ৭ম স্থান অধিকার করেন । পরবর্তীতে ইংরেজী ভাষা ও প্রশাসনে উপরে ঢাকা নিয়ে বার ( বর্তমানে নায়েম ) থেকে বিশেষ প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন । কর্মজীবন : সুদীর্ঘ কর্মজীবনে আব্দুল মজিদ বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজে ইংরেজীর অধ্যাপক হিসেবে যথাক্রমে কুমিল্লা পায়না ও মােমেনগড়ী ক্যাডেট কলেজে ( বর্তমানে মীর্জাপুর ক্যাডেট ) ৫ বৎসর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন । এরপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত বিএএফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রামে সবচেয়ে কম বয়সে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন এবং বর্তমান বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল কর্ডক হাসান উদ্দীন আহম্মেদ শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে ( ৪ টি শাহীন কলেজের মধ্যে ) প্রশংসা পত্র লাভ করেন । তিনি মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশ যেমনঃ- কাতার , সৌদি আরব , পবিত্র মদিনা মনােয়ারা , যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করেন । বিদেশে দূতাবাস কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন তিনি কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ ( সাল ) পর্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন । এখানে উল্লেখ্য যে কাতারে অবস্থান কালে তিনি কাতার সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তােলেন এবং কাতারস্থ বাংলাদেশ স্কুলের জন্য ১৭ হাজার বর্গফিট জমি বিনামূল্যে বরাদ্দ করান । এ কাজে কাতারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ডঃ ইফতেখার আহম্মদ চৌধুরী তাকে সহযােগিতা করেন ।
তাই এখন আব্দুল মজিদের একমাত্র উদ্দেশ্য গরীব অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন, পিছিয়ে পড়া সমাজে শিক্ষার আলো ফুটিয়ে সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তোলা। এজন্য তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন।ড. মোঃ আব্দুল মজিদের দায়িত্বশীল সূত্রের দেওয়া প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানাগেছে।
0 Comments