পল্লী বিদ্যুতের দাশুড়িয়া অফিসের তৎকালীন কর্মকর্তাদের চাওয়া ঘুষের ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় আমার অনুপস্থিতিতে আমার মেসার্স সুমি লুজ ফিড মিলের বৈদ্যুতিক লাইনের মিটার খুলে রিডিং পরিবর্তনের মাধ্যমে বেশী বিল দাখিল করে বিপদ গ্রস্ত করে ফ্যাক্টরী বন্ধের মাধ্যমে চার বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি পূরণ ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিসহ মেসার্স সুমি লুজ ফিড মিলে পুণরায় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত আভিযোগে বক্তব্য দেন বেলায়েত সরকার ।তিনি এভাবে বকত্ব্য দেন,
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,আমার সালাম গ্রহণ করুন। আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী মোঃ বেলায়েত সরকার পিতা মৃত মতিয়ার রহমান সরকার, গোয়াল বাথান,মুলাডুলি,ঈশ^রদী,পাবনা এই মর্মে সকল প্রকার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের/প্রচারের জন্য অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে/ লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ জানাচ্ছি যে,মুলাডুলির গোয়াল বাথানস্থ নিজস্ব জমিতে গত ২০০৫ সালে মাছ,মুরগী ও গরুর খাদ্য প্রস্তুতের জন্য মেসার্স সুমি লুজ ফিড মিল স্থাপন করি। একই বছরে পল্লী বিদ্যুৎ দাশুড়িয়া অফিসের মাধ্যমে মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এর পর সে সময়ে দাশুড়িয়া অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার প্রস্তাব দেন যে,প্রতিমাসে ১০ টাকা করে দিলে আপনার মিলের মাসিক বিল কমকরে করা হবে। তার অনৈতিক প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। এরই জের হিসেবে গত ৬/১২/২০১৬ ইং তারিখে আমি ঢাকায় থাকা কালিন সময়ে আমাকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে সিলগালা করা মিলের মিটার খুলে বিদ্যুৎ বিলের রিডিং পরিবর্তণ ও তার পরিবর্তণ করা হয়। ্এর পর থেকে পূর্বের তুলনায় তিন চার গুণ অতিরিক্ত বিল দাখিল করা শুরু হয়। এঘটনার পর অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিল বেশী দাখিলের বিষয়টি জানালেও তারা কোন সঠিক জবাব দেননি এমনকি তার পুড়ে যাওয়ারও কারণও জানানো হয়না। কোন উপায় না পেয়ে গত ২০.১১.২০১৭ ইং তারিখে পাবনা আদালতে মেশবাহুল হক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও জুলফিকার হায়দার জেনারেল ম্যানেজার পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কে বিবাদী করে অঃপ্রঃ ২০/২০১৭ নং মামলা করি। মামলার সাক্ষী প্রমানে না জানিয়ে সিলগালা করা মিটার খোল প্রমাণ মেলে। পরবর্তীতে চাকরী বাচানোর জন্য মিটার খোলা ও বিল বেশী দাখিলের অপরাধ স্বীকার করে এবং আমাকে অনুরোধ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমার মিলে পুণরায় বিদ্যুৎ সংযোগের শর্তে /কথা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করানো হয়। শর্ত মোতাবেক লাইন সংযোগ দিলে আমি আমার মিলে উৎপাদন শুরু করি। উৎপাদন শুরুর দু’মাস পর মামলা প্রত্যাহারের সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ কর্তৃপক্ষ আমার নিকট বিদ্যুৎ অফিসের ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৮ টাকা পাওনা আছে মর্মে এডিআর এর (কার্ট মাধ্যমে)জানায়। কিন্তু মামলা প্রত্যারের পর ১০.১.২০১৮ ইং তারিখে তারা ৩৩ মাসের রিবেট এর টাকা বাবদ ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪১৮ টাকা ফেরত দাবি করে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করে মেশবাহুল হক ।
তিনি বলেন,জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইয়েরা,মিল চলমান থাকা অবস্থায় বর্জপাতে ট্রান্স ফরমার পুড়ে যাওয়ার পর ট্রান্স ফরমারটি খুলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ চাটমোহর অফিসে নেওয়া হয়। এরপর তারা ৩৯ হাজার টাকা দাবি করেন,তখন আমি তাদেরকে অনুরোধ করে বলি আমার আর্থিক অবস্থা ভাল না। আমাকে এই ৩৯ হাজার টাকা কিস্তি করে দিতে বললে তারা কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আবারও অযৌক্তিকভাবে রিবেট বাবদ তাদের দাবিকৃত ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪১৮ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আমি উক্ত টাকা গত ১৫.০৭.২০১৮ ইং ও ০২.১২.২০১৮ ইং তারিখে কয়েন মুদ্রার মাধ্যমে বিল পরশোধের জন্য পৃথক লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি। কিন্তু তারা বিল নিবেন কি নিবেন না তা কোন ভাবেই লিগ্যাল নোটিশ দু’টির জবাবের মাধ্যমে জানাননি। এরপরও আমি রিবেটের টাকা বাদে মুল বিলের মোট টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা কয়েন মুদ্রা বাদে পরিশোধ করার জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষকে পাঁচবার লিখিত আবেদন করি। একই সাথে ২ লাখ টাকা নেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকার কিস্তি করে দেওয়ার অনুরোধ করে পুণরায় মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আবেদন করি। তাতেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। এর পরও আমি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য লিখিত আবেদন করি। এত কিছুর পরও তারা কোন সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে বিগত প্রায় চার বছরে আমার মিলে উৎপাদন বন্ধ থেকে নানাভাবে আমার প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে।
বেলায়েত সরকার আরও বলেন,সাংবাদিক বন্ধুরা,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ দাশুড়িয়া অফিসের বর্তমান ডিজিএম মেশবাহুল হক,এজিএম(ওএন্ড এম)এস,এম,আব্দুল খালেক,বিলিং সুপাফাইজার সখিনা খাতুন,পাওয়ার হাউজ কোঅডিনেটর খন্দকার রফিকুল ইসলাম,সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হকের কাছে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। এতাবস্থায় আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দাশুড়িয়া অফিসের দায়িত্বশীল সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্বে অবহেলার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য শিল্প মুখী ও উন্নয়নের রুপকার মানবতার মাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষে কামনা করছি।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ দাশুড়িয়া অফিসের বর্তমান ডিজিএম মেশবাহুল হক ও এজিএম(ওএন্ডএম)এস,এম,আব্দুল খালেকের কাছে এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাওয়া হলে তারা বেলায়েত সরকারের সকল অভিযোগ সঠিক না বলে দাবি করেন। একই সাথে তারা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,কোর্টের সিদ্ধান্তের পরও বেলায়েত সরকার কিস্তির টাকা প্রদানে ব্যর্থ হন এবং মাছের খাদ্য তৈরীর কথা বলে মশার কয়েল তৈরীর গুড়া তৈরী করায় রিবেটের টাকা দাবি করা হয়েছে।#
0 Comments